স্বাস্থ্য

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা | কলা খাওয়ার সঠিক সময়

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা একটু সহজ দ্রব্য ফল হওয়াতে বর্তমান সময়ে সবার জনপ্রিয় খাবার এটি। বিশেষ করে আমাদের বাঙালির সস্তা খাবার বলা চলে। এটি দামে সস্তা হলেও এর উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। সেটা জানার জন্য ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করি সঠিক তথ্যটি পাওয়ার জন্য। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানব কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

অন্য ফলের তুলনায় কলার দাম অনেক কম কিন্তু এতে পুষ্টি ও ভিটামিন ভর করে। কলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহ গঠনে অনেক ভূমিকা পালন করে। এজন্য কলাকে পুষ্টির জন্য সুপারফুড নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কলা খেতে ভীষণভাবে পছন্দ করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে ১০টি উপকারিতা উল্লেখ করো হল।

১ ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২ পেটের ভিতরে থাকা কিডনি ভালো রাখে।

৩ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

৪ ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

৫ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

৭ হাড় ও পেশি শক্ত করে।

৮ ক্যান্সার হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।

৯ তাড়াতাড়ি খাবার হজম করে।

১০ হার্ট অ্যাটাক থেকে মুক্তি দেয়।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

এছাড়াও নিয়মিত কলা খেলে যে কোন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমাদের সকলের উচিত দিনে একটি করে হলেও কলা খেতে। তাহলে উপরে দেওয়া এই ১০টি উপকারিতা আমাদের জীবনে পাবো।

কলাতে কি কি উপাদান থাকে

প্রত্যেকটি খাবারে অনেক উপাদান থাকে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না বা খেয়ে বুঝতে পারি না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে তা বের করা হয়ে থাকে যে কি কি উপাদান থাকে সেই খাবারে। তো চলুন জেনে নিই একটি কলাতে কি কি উপাদান থাকে।

উপদান পরিমাণ
শক্তি ১০০ ক্যালোরি
ফাইবার ২.৫ গ্রাম
ফসফরাস ২৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ১০.৯ মিলিগ্রাম
প্রোটিন  ১ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৩০.৫ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ২৫ গ্রাম যাতে চিনি ১২.৫ গ্রাম
পটাসিয়াম ৪১০ মিলিগ্রাম
সেলেন ১.৫ মাইক্রোগ্রাম
কোলিন ১০.৫ মিলিগ্রাম
আলফা ক্যারোটিন ২৬.৩ মিলিগ্রাম
ফোলেট (mcg DFE) ২২.৪ মিলিগ্রাম
বিটা ক্যারোটিন ২৮ মিলিগ্রাম

কলা খাওয়ার সঠিক সময়

আমরা অনেকেই এখনো কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা সঠিক সময় জানিনা। তাই জন্য আমাদের শরীরের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর একটি কথা অনেকেই বলাবলি করে যে কলা সকালে খাওয়া ভালো না রাতে খাওয়া ভালো। এই সকল কিছু সঠিক উত্তর হচ্ছে কলা সকালে কিছু খাওয়ার পরে খাওয়াটাই উত্তম এতে সারাদিন শরীরে  শক্তি উৎপন্ন করে। খালি পেটে কলা খেলে তা পেটের ভিতর যেয়ে কলাতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া পেটের অনেক ক্ষতি করে।

গর্ভবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

একজন নারী যখন গর্ভাবস্থায়ী অবস্থায় থাকে তখন কিন্তু তার ও তার শিশুর জন্য সুস্থ থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে গর্ভবস্থায়ী সেই নারীর ভীষণভাবে বমি পায় শরীর দুর্বল হয়। এক্ষেত্রে কলা খেলে সবকিছু সমাধান হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ প্রোটিন জাতীয় খাবার কি কি | প্রোটিনের অভাবে কি রোগ হয়?

কলা খাওয়ার অপকারিতা

আমরা সবাই জানি যে প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিক রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা২ টায় রয়েছে  । কলা খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে সেটা হচ্ছে। যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে অল্পতেই পেট খারাপ করে বা যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কলা না খাওয়াটাই উত্তম। কারণ কলা একটি ঠান্ডা প্রকৃতির খাবার। এটা খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আর যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের সেই থেকে সর্দি, কাশি হতে পারে বা শ্বাসকষ্ট। 

কলা খাওয়ার অপকারিতা

কলা কোথায় বেশি উৎপাদন হয়

কলা উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি বিখ্যাত জেলা রয়েছে সেখানে সারা বছর কলা উৎপাদন হয় এবং সেখান থেকে সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি | সিদ্ধ ডিম খাওয়ার নিয়ম

জেলা গুলো হলো: নরসিংদী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মুন্সিগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, এছাড়াও আরও অনেক কয়টি জেলায় বিভিন্ন জায়গায় কলা চাষ করা হয়।

কলা নিয়ে সবার প্রশ্ন ?

প্রশ্নঃ দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত ?  

   উত্তরঃ দিনে ১ থেকে ২ টি কলা খাওয়া ভালো। 

প্রশ্নঃ কলা খেলে কি গ্যাস হয় ?

   উত্তরঃ জি হালকা পরিমান একটু গ্যাস হতে পারে ।  

প্রশ্নঃ কলার বৈজ্ঞানিক নাম কি ?

   উত্তরঃ কলার বৈজ্ঞানিক নাম (Musa Acuminata) মুসা আকুমিনাটা। 

প্রশ্নঃ কলা কখন খাওয়া উত্তম ? 

   উত্তরঃ সকালে খাওয়ার পরে।

প্রশ্নঃ কলা দিয়ে কি কি করা যায় ? 

   উত্তরঃকলা দিয়ে চাইলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চাইলে আমরা এমনিতেও খেতে পারি অথবা রান্না করে খেতে পারি। অনেকে আবার কাছে কলা সিদ্ধ করে সেটা বর্তা বানিয়ে খাই।

প্রশ্নঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা কোনটা বেশি ?

   উত্তরঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা ২ টার মধ্য উপকারিতা বেশি।

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সর্বশেষ কথা

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সবাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে। আজকের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

 

One thought on “কলার উপকারিতা ও অপকারিতা | কলা খাওয়ার সঠিক সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *