স্বাস্থ্য

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা | দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়

দুধ বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের কাছে এটি জনপ্রিয়। দুধ আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন খাবারের সাথে ও মাঝে মধ্যেই খেয়ে থাকি। দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। এটি সকলের কাছেই অনেক পছন্দের একটি খাবার আবার অনেকের ক্ষেত্রে এটি অপছন্দের খাবার। দুধের মধ্যেও অনেক পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে। দুধের মধ্যে পুষ্টি ভরপুর। আমাদের মধ্যেও অনেকেই আছে যারা দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেনা ও দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও আরো বিস্তারিত সম্পর্কে ধারণা নেই। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা প্রত্যেকেই জানি যে সব কিছুরই উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। দুধের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু দুধের উপকারিতা একটু বেশি আর অপকারিতা খুব কম।

দুধের উপকারিতা

দুধের উপকারিতা

১ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২ ক্যান্সার হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

৩ মাথার চুল মজবুত করে।

৪ ত্বক উজ্জ্বল করে।

৫ খাবার হজম করতে সাহায্য করে।

৬ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৭ পেটের মধ্যেও গ্যাস হওয়া দূর করে।

৮ রাতে পরিপূর্ণভাবে ঘুম হয়।

৯ দাঁত মজবুত করে।

১০ শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করে।

১২ হাড় ও পেশি শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।

১৩ শরীর ও মন সুস্থ রাখে।

১৪ ডায়াবেটিস হতে মুক্তি দেয়।

১৫ ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে।

ওপরের ১৫টি উপকার পেতে হলে আমাদের দৈনিক নিয়ম মত দুধ পান করতে হবে। তাহলে আমরা অবশ্যই উপকৃত হব এবং আমাদের শরীর ভালো রাখতে পারব।

দুধের অপকারিতা

দুধ একটি জনপ্রিয় খাবার হলেও এটি অনেক মানুষের জন্য খাওয়া ঠিক না বলে ডাক্তার রা বলেছে। যাদের পেটে সমস্যা রয়েছে তাদের দুধ না খাওয়াই ভালো কারণ যাদের সমস্যা রয়েছে তারা যদি দুধ খায় তাহলে ডায়রিয়ার মত আরও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যাদের আলসারের সমস্যা রয়েছে তারা দুধ না খাওয়াটাই ভালো বলে পরামর্শ দেয় ডাক্তার। আবার পেটের অপারেশন করে তাদের ক্ষেত্রে দুধ না খাওয়াটাই ভালো। অবশেষে বলতে গেলে দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি রয়েছে।

দুধের অপকারিতা

দুধ খাওয়ার দোয়া

ইসলামীক শরীয়ত অনুযায়ী কম-বেশি সব কিছুরই নিয়ম ও দোয়া ইসলামীক বইয়ে ও কোরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দুধ খাওয়ার দোয়া শিখিয়ে গেছেন।

 اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ আরবি উচ্চারণ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু’।

অর্থ : হে আল্লাহ! এই খাবারে আমাদের বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন।

দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

দুধ একটি তরল পদার্থ। দুধ পাওয়ার মূল উৎস হচ্ছে গরু। আমরা কম বেশি সবাই গরুর দুধ টাই বেশি খেয়ে থাকি। প্রথমত যখন দুধটা গরুর কাছ থেকে নিয়ে আনা হয় তখন দুধটা কাঁচা থাকে। তারপর সেটা একটি পাত্রে রেখে ৭ থেকে ৮ মিনিট তাপ দিলে তা খাওয়ার উপযুক্ত হয়। অনেকেই আবার কাঁচা দুধ খেয়ে থাকে। এতে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁচা দুধে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা খেলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি করে।

আরও পুড়ুনঃ

তাই সব সময় দুধ গরম করে খাওয়াটাই উত্তম। এতে করে দুধে থাকা সকল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। আমাদের প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস দুধ খাওয়া প্রয়োজন। যা আমাদের শরীরের অনেক উপকারী। এ গ্লাস দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ও অ্যামাইনো এসিড।

দুধে কি কি উপাদান থাকে

অনেকেই জানিনা দুধে কি কি উপাদান রয়েছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১ পানি আছে ৮৫.৫গ্রাম।

২ আমিষ রয়েছে ৪.২গ্রাম।

৩ ক্যালসিয়াম রয়েছে ১০৫মিলিগ্রাম।

৪ সোডিয়াম আছে ৪০মিলিগ্রাম।

৫ চার ধরনের ভিটামিন রয়েছে।

দুধ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন ?

১ প্রশ্ন: দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কখন?

    উত্তর: রাতে বা সকালে খাবার খাওয়ার পরে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।

২ প্রশ্ন: দুধ কি জাতীয় খাদ্য?

   উত্তর: দুধ আমিষ জাতীয় খাদ্য।

৩ প্রশ্ন: দুধ দিয়ে কি কি করা যায়?

    উত্তর: দুধ এমনি খাওয়া হয়। আবার প্রায় ১০০টির বেশি রকমের রান্না করার ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।

৪ প্রশ্ন: কাঁচা দুধ খাওয়া কি ঠিক?

    উত্তর: মেডিকেল ডাক্তারের পরামর্শে কাঁচা দুধ খাওয়া কখনই ঠিক না।

৫ প্রশ্ন: দুধ ফ্রীজে কতদিন সংগ্রহ করে রাখা যায়।

    উত্তর: ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দুধ ফ্রীজে সংগ্রহ করে রাখা যায়

আরও পুড়ুনঃ

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সর্বশেষ কথা:

দুধ অন্যতম সেরা একটি খাদ্য। আমাদের সবার উচিত প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা। আবার একটা জিনিস মাথায় রাখবেন কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ খাবেন না এতে করে উপকার এর থেকে ক্ষতি বেশি হবে। আশা করছি সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *